গত বুধবার (৫ মার্চ) লালমনিরহাটের জেলার একটি গ্রামের ভুট্টা ক্ষেত থেকে এক নারীর মাথাবিহীন মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ওই নারীর পরিচয় ও কাটা মাথা খুঁজতে শুরু করে।
মরদেহ উদ্ধারের পর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ নুরনবী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, কাটা মাথাটি পাওয়া যাচ্ছে না বলে মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
অবশেষে জানা গেছে মাথাবিহীন উদ্ধার হওয়া মৃত নারীর পরিচয়। তার নাম মোছাঃ হাসিনা বেগম। তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে লালমনিরহাট জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ফুলগাছ বামনপাড়া গ্রামে তার প্রথম এবং তৃতীয় স্বামী (একই ব্যক্তি) আশরাফুল এবং তিন সন্তান ও নাতি-নাতনির সাথে বসবাস করতেন। হাসিনার পূর্বপুরুষ ভারতের কোচবিহার জেলার দরিবাস এলাকার বাসিন্দা ছিলো।
ছবি: নিহত হাসিনার পরিচয়পত্র
ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে খুন করেছে তার স্বামী আশরাফুলই। স্থানীয় একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বলেন, ‘হাসিনার বাপের বাড়ি ভারতে। সে আমার ওয়ার্ডেই স্বামী থাকত। ঘটনার দিক সকাল ১০টা পর্যন্ত তার স্বামী আশরাফুল বাড়িতেই ছিলো। এরপর থেকে সে পলাতক।’
স্থানীয় অন্য এক বাসিন্দা, ‘তার স্বামীর রক্তমাখা জ্যাকেট, জামা আর রক্তমাখা একটি অস্ত্র পাওয়া গেছে। গতকাল শুনছি এই এলাকায় একটা মাথা ছাড়া লাশ পাওয়া গেছে। সংবাদিক, পুলিশ, প্রশাসন সবাই আসছে। পরে আজকে দেখতে আইসা শুনলাম তার স্বামীই খুন করছে।’
নিহত হাসিনার পুত্রবধূর দাবি, গত বুধবার রাতে খুন করে পর দিন সকালে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। তার ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন হাসিনা পরিবারের সবার জন্য রুটি বানিয়েছিলেন। রুটি খেয়ে তারা সবাই তামাক ক্ষেতে কাজ করতে যান। রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে তারা হাসিনাকে আর বাড়িতে পান না। তার (হাসিনা) স্বামীও কিছু না জানার ভান করছিলেন। পরের দিন সকালে থেকে তিনি পলাতক।
সূত্র: