নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী সুরাইয়া ইয়াসমিন ঐশী পরীক্ষাতেই অংশ নেননি,অথচ পাস করিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেঁসে উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন।তাকে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা যায়,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে সামনের সারিতে ছিলেন ঐশী। ১৬ জুলাই ২০২৪ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঐশী পলাতক। গতবছর ২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় গণিত বিভাগের মাস্টার্স এর একটি মিডটার্ম পরীক্ষা।পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ছাত্রলীগ নেত্রী ঐশী ,কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল পরীক্ষা না দিয়েই উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।এমনকি মিড টার্ম পরীক্ষার ২৫ নম্বরের মধ্যে ১৬পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সহপাঠীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এ ধরনের কোন নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত নম্বর তুলতে পারছে না সেখানে পরীক্ষা না দিয়ে এত ভালো নম্বর পাওয়া অনৈতিক। ঘটনায় শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে প্রত্যেকে উপযুক্ত বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে,তদন্তের পর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।